একজন মেকুর (পর্ব-১)
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:৩৯:২৩ রাত
একজন মেকুর
[বাড়তি প্যাচালঃ- আমার অফিসে একজন কুলাঙ্গার তার যে ডায়েরিটা পাঠিয়েছিল, সেখান থেকে কিছু অংশ "একজন কুলাঙ্গারের ডায়েরী" নামে এর আগে ব্লগে পোস্ট করেছিলাম । তখন ঐ লেখাটির পরে ডায়েরীর পাতাগুলো খালি ছিল। বেশ অনেকগুলো পাতাই খালি। অনেক পুরনো পাতাগুলো কেমন হলদেটে ভাব হয়ে গেছে। তো এই সেদিন রাতের বেলা মনের অগোচরে ডায়েরিটা ওলটপালট করছিলাম। এমন সময় কারেন্ট চলে গেলো। ছোট চার্জার লাইট জ্বালালাম।ডায়েরীর পাতায় সেই আলো পড়ল। চমকে উঠলাম। হলদেটে খালি পাতাগুলো দৃশ্যমান অক্ষরে ভরে উঠল!!
আসলে এই পাতাগুলো এমন কালি দিয়ে লিখা হয়েছে, যা স্বাভাবিক আলোতে দেখা যাবে না। তবে এর উপরে আলো ফেললেই এগুলো পড়া যাবে। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। এখানে একজন মেকুরের নিজের জীবনের কাহিনী বলা হয়েছে। MECURE এর পুর্ণ রুপ হল Mankind’s Evaluation Through Continuous Underground Revolution. মেকুর হলো একজন মানুষ যে তার ভিতরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সকল মানবীয় ভালো গুন আনার জন্য ভিতরে ভিতরে চেষ্টা করে থাকে। একই সাথে সকল খারাপ গুনকে বিসর্জন দেবার সাধনা করে। এক নীরব অভ্যন্তরীন বিপ্লব ঘটতে থাকে তার ভিতরে। যখন সে সকল ভালো গুণগুলো করায়ত্ত করে, আপনাতেই খারাপ গুণগুলো তার ভিতর থেকে দূর হয়। তো দেখা যাক, একজন মেকুরের জীবনে কি কি ঘটেছিল।]
আমাকে শেষ পর্যন্ত আমার ফ্যামিলি (এক মেয়ে ও বউ) নিয়ে গ্রামে চলে যেতে হলো। এটা পুরাপুরি গ্রামও না, শহর ও না। একটা উপজেলা যেখানে বিদ্যুৎ-গ্যাস থাকলেও সাপ্লাই পানি নাই। তবে শহরের তুলনায় এটা অজ পাড়া গা ই। সেখানে অনেক জায়গা নিয়ে একটা সেমি পাকা টিনশেড বাড়ীতে আমি উঠে এলাম।
আমার শ্বশুরের আশ্রয়ে আমি আছি।
মাকে হারিয়েছি চীরতরে।
ভাইয়েরাও আমার উপর রাগ। আমার বউ এর পরিবার এবং আমার পরিবারের ভিতরে কোথাও থেকে কিছু সুতা আলগা হয়ে গেছে। সম্পর্কের সুর কেটে গেছে। কেউ কাউকে টলারেট করছে না। আর এই দুই পরিবারের ভিতরে আমার অবস্থা যেন দুই নৌকায় পা দিয়ে থাকা এক সতর্ক শয়তান।
আমি কোন কাজ করতে চাই না। আমার কোনো কিছু ভালো লাগে না। কিন্তু আমার সংসার চালাতে তো হবে। জব থাকা অবস্থায় আম্মা নিজের পছন্দ করা মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। আহা! কত সুন্দর ই না ছিল সেই দিন গুলো [ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম]!
এর পরের ঘটনা তো সব আগের পাতায় লিখেছি।
আম্মা মারা যাবার পরে প্রথম কিছু দিন গুম হয়ে ছিলাম। তবে শোকের তীব্রতা টের পেলাম আমার বড় মেয়ে মারা যাবার পরে। প্রায় ৬ মাস পাগলের মত ঘুরলাম। সবাই আমাকে এই সময়টা ছাড় দিয়েছিল।
পর পর দুইটা ধাক্কা সামলানো আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হতে থাকে। কিন্তু মাথায় মনে হয় কিছুটা গন্ডগোল হয়ে গিয়েছিল যা আর ভালো হল না। চাকরি টা চলে গেল। ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। আমার বউ এর বাবা এর পরে আরো এক জায়গায় আমার জন্য জবের ব্যাবস্থা করলেন। কিন্তু সেখানে তিন দিনের দিন রাগ করে বের হয়ে এলাম। আর গেলাম না। এ জন্য আমার শ্বশুর আমার সাথে অনেকদিন কথা বলেন নাই। তবে তিনি বিভিন্ন ভাবে আমাকে একটা ভালো পজিশনে আনার জন্য তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমি নিজেকে যেন ধ্বংস করার তালে ছিলাম। আমার সরকারী চাকুরির বয়স ছিল। কিন্তু আমাকে বিসিএস বা অন্যান্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেও আমি মাসুদ রানা বা ওয়েস্টার্ণ পড়ে পড়ে প্রস্তুতি নিতাম। আমাকে পরীক্ষার হলের গেটে ঢুকিয়ে দিয়ে আসা হত। আমি পিছনের গেট দিয়ে বের হয়ে বটতলি স্টেশনে এসে গুজাইয়ার সাথে বসে কল্কি টানতাম। মোটকথা আমি একেবারে শেষ হয়ে যেতে চেয়েছিলাম।
এইজন্য আমাকে আমার পরিবার সহ এই উপজেলায় নির্বাসনে পাঠানো হল।
মেকুরের বনবাস।
প্রায় এক বিঘার মত সম্পদ পানির দামে আমার শ্বশুর কিনেছিলেন অনেক আগে। সেখানে তিনটি পরিবার থাকতে পারে মত করে টিনশেড ঘর করা হয়েছিলো। তবে আরাম ছিলো। গ্যাস-কারেন্ট ও মটর বসিয়ে ট্যাঙ্কিতে পানি তোলার ব্যবস্থা ছিল। আমি প্রথম এসে তো কাউকে চিনি না।যারা এলাকার ছেলেপেলে, সবাই আমার থেকে অনেক ছোট। বেশীরভাগ ই সারাদিন টোটো করে ঘুরে-নেশা করে আর চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেয়। আমার মনের ভিতরের শয়তানটা হেসে উঠল।
যাক! এতদিন পরে নিজেকে শেষ করে দেবার একটা স্থান পাওয়া গেলো। আমি অল্প দিনের ভিতরে জুনিয়র সেই ছেলেদের ভিতর মিশে গেলাম। আমার শ্বশুর ছিলেন এই এলাকায় প্রভাবশালী। আর এই দুনিয়াটা টাকা আর প্রভাবের গোলাম। আমি সবার ভিতরে বেশ খানিকটা প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করলাম।
আমার সারাদিন কোন কাজ ছিলো না। সম্পুর্ণ জায়গাটা বাউন্ডারি ওয়াল করা ছিলো। প্রায় ৮ ফুট উঁচু সেই বাউন্ডারির ভিতরে আমি এক শাহেনশাহ’র মত জীবনযাপন করা শুরু করলাম। আমার কোন অপুর্ণতা আমার বউ এর বাবা রাখেন নাই। তিনি তার এই মেয়েকে অনেক ভালো বাসতেন। আর আমি তার এই ভালবাসার দুর্বলতাকে কাজে লাগালাম। বাড়ীর ভিতরে তিনি ৪০ ধরনের হার্বাল গাছ লাগিয়েছিলেন। আমি তাদের সংখ্যা আরো একটি বৃদ্ধি করেছিলাম। সেটা ছিলো গাঁজা গাছ। এই বাউন্ডারির ভিতরে আমি না চাইলে পুলিশও ঢুকতে পারত না।
প্রথমে আমার শ্বশুর আমাকে ভিতরে বিভিন্ন শাক শব্জীর চাষ করতে বললেন। আমিও কামলা দিয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ খালি জায়গায় শাক-শব্জির চাষ করালাম। কিন্তু একদিন একজন কামলাকে তখন ৯০-১০০ টাকা দেয়া লাগত। আর শাঁক বিক্রি করে ১০ টাকা পেতেও কষ্ট হয়ে যেতো। আর এ গুলো কে বিক্রি করবে? আমার পক্ষে কি সম্ভব? যে ব্যাটাকে দিয়ে চাষ করাতাম, সেই ই শেষে নিজের বাসার জন্য প্রায় বিনামুল্যে নিয়ে যেতো। এভাবে একের পর এক প্রজেক্ট হাতে নিলাম। পেঁপে বাগান, হালুয়া ঘাট থেকে হাইব্রিড ডাটার বীজ এনে চাষ করা, কিংবা গোলাপ ফুলের চাষ- আরো কত কি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব-ই লস প্রজেক্ট।
আমার শ্বশুর হতাশ।
আমি আরো আনন্দিত।
এর পরে তিনি আমাকে তিনটা মুরগী কিনে দিলেন। একটা মোরগ। বাকী দুইটা মোরগের দুই বউ। চিন্তা করতে পা্রেন? একটা মোরগের দুইটা বউ, আর আমার মোটে একটা? শেষ পর্যন্ত একটা মোরগও আমাকে ছাড়িয়ে গেলো?
প্রতি দিন সকালে রশি দিয়ে বাঁধা মোরগ ও মুরগী আমি ছেড়ে দেই।
আবার বিকালে ওদেরকে আশে পাশের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসি। আসলে আমি কিছু ই করি না। আমার বিচ্ছু বাহিনী সব করে। ওদের নিয়ে সারা দিন গ্রামের এখানে সেখানে বসে গাঁজা টানি। শুধু খাবার সময় হলে বাসায় এসে খেয়ে নেই। আমার বউ আমাকে কিছু বলে না। মাসে মাসে ঘর ভাড়া পাই। তার সাথে আমার শ্বশুর টাকা পাঠায়। আমার ভালই চলে যাচ্ছিলো।
আসলে আমাকে তিনটা মোরগ-মুরগী এই জন্য কিনে দেয়া হয়েছিলো, যেন ওগুলোর পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে আমি অতিষ্ঠ হয়ে এই বোহেমিয়ান জীবন ছেড়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করি। তবে আমি সব কিছু বুঝে ফেলেছিলাম।
কিছু ই করলাম না।
আমাকে আমার শ্বশুর বলতেন যে, পথে বের হলে সব সময় একটা পলিথিন পকেটে রাখবা। পথে যদি গোবরও পাও তবে তা ঐ পলিথিনে ভরে বাসায় নিয়ে আসবা। একটা গাছের গোড়ায় দিলেও তো কাজে লাগবে।
অসাধারন! কি আইডিয়া!
আমি কল্পনায় দেখতে পেলাম রাস্তায় পড়ে থাকা কাঁচা গোবর আমি মানুষের সামনে দিয়ে উঠিয়ে পলিথিনে ভরে পকেটে রাখছি। আর সবাই অবাক হয়ে আমাকে দেখছে। তবে তাদের চোখে মুগ্ধতার পরিবর্তে সেখানে রয়েছে ভয় মেশানো বিস্ময়, যা পাগলদের দেখলে আসে।
একদিন একটা মুরগী কারা যেনো ধরে নিয়ে গেলো। আমার বিচ্ছু বাহিনীর ই কাজ হবে। আর মোরগটাকে বিক্রি করে গাজার পুরিয়া কিনে ‘পার্টি’ দিলাম এক পুকুর পারে। আমি অবিবেচক নই। বাকী মুরগীটা আমার বউকে নিয়ে মজা করে খেলাম। আমার এই প্রজেক্টও লসে পরিণত হল।
আমার মেয়েকে উপজেলার সব থেকে ভালো একটি কেজি স্কুলে ভর্তি করানো হল। আমার বউ প্রতিদিন বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যায়। আমার জন্য সব কিছু করে। ভাড়াটিয়াদের সুযোগ-সুবিধার খোঁজ নেয়। ওর নিজের একটা সার্কেল গড়ে উঠলো বিভিন্ন স্টুডেন্টদের মায়েদের সাথে। তবে তারা জানত না, যে আমি ওর হ্যাজবেন্ড। আমাকে তারা দেখত রাস্তা-ঘাটে বখাটে ছেলেদের সাথে- চা এর দোকানে- নেশায় চুর। কখনো বা মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে অকথ্য ভাষায় কাউকে গালিগালাজ করা অবস্থায়।
আমি আমার বউকে একটুও বুঝার চেষ্টা করতাম না। ও যেন আমার ভোগের সামগ্রী ছিলো। আর ছিল আমার টাকা যোগানোর উৎস।
আমার জন্য ওর সামাজে মুখ দেখানোই এক পর্যায়ে দায় হয়ে যায়। তবে আমার বিরুদ্ধে কখনো কোনো অভিযোগ আসে নাই ওর কাছে। আমাকে সে অনেক বুঝাল। আমি বুঝতে চাইলাম না। শেষে একদিন ওর বাবা এসে আমাকে বললেন যে, এভাবে আর চলে না। তুমি তোমার রাস্তা দেখ। আমার বউ মাথা নীচু করে সমস্ত সময় বসে ছিল। আর আমি ছিলাম তখনো উন্নত মম শির। এক সতর্ক শয়তান।
আমার বাচ্চাকে শেষবারের মত আমার কোলে দেওয়া হলো।
একটু আদর করার জন্য।
কিন্তু কিভাবে আদর করে তাও ভুলে গেছিলাম।
আমার হৃদয়ের গহীনে কোথাও থেকে কেমন অন্য এক সুর বাজছে টের পেলাম। আমার বাচ্চা আমার কোলে। কেমন দেবশিশুর মত লাগছে আজ!
ওহ! আজ এই শেষবেলায় সব এমন কেন মনে হচ্ছে?
আমি কি ভুল করেছি? তবে তা শোধরানোর মত সময় আর নেই।
আমার হৃদয় প্রচন্ড শব্দে আন্দোলিত হচ্ছিল। আমি আমার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম শক্ত করে। কেউ যেনো নিয়ে যেতে না পারে।
কিন্তু ভুল যা হবার অনেক আগেই হয়ে গেছে।
আমার শ্বশুরের প্রভাবের কাছে আমি হেরে গেলাম। আমি তবুও অপেক্ষা করছিলাম আমার বউ হয়ত...
আমি অপেক্ষা করছিলাম ও একটু আমার দিকে তাকাক...
যেভাবে এতোগুলো বছর আমাকে সহ্য করেছে- সুযোগ দিয়েছে... আর একটি বার আমাকে দিক।
কিন্তু সে আর আমার দিকে ফিরলোই না। আমার পৃথিবী-আমার সন্তানকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হলো। ও বুঝতেও পারলো না, ওর বাবাকে হারাতে চলেছে।
আমি নির্বাক হয়ে এক অভিমানে আমার নিজের সংসার থেকে বের হয়ে গেলাম।
পিছন থেকে কেউ আমাকে ডাকলো না।
আমিও সামনের পানে এগিয়ে চললাম।
তখন কিন্তু আমি আর সতর্ক শয়তান ছিলাম না।
বিশ্বাস কর, আমি ঐ মুহুর্তে একজন সত্যিকার মানুষে রুপান্তরিত হয়েছিলাম। কিন্তু জানোয়ারের খেতাব কি আর এক মুহুর্তের মানুষের পরিচয়ে দূর করা যায়!
আমার হৃদয় ভেঙে চুড়ে বাতাসে মিলিয়ে যাচ্ছিলো।
পিছনের পথ বন্ধ।
সামনের পথের দিশা নাই।
আমার সব থেকে প্রিয় দুজন কে হারানোর পরে আমি কি হারালাম তা টের পেলাম। তবে এই উপলব্ধি আমার কোনো কাজে আসলো না।
আলো থেকে অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছিলাম। এক মুহুর্তের আলো আমাকে আলোকিত করে আবার এক নিরংকুশ অন্ধকারে টেনে নিয়ে গেলো।
আমার বউ আমার মেয়েকে নিয়ে কানাডায় চলে যায়।তার বাবা সব ব্যবস্থা করেন। সেখানে এক ডাক্তারের সাথে ওর বিয়ে হয়। আমার মেয়ে এখন তাকেই বাবা জানে। এটা আমার অনুমান। কারন আমার সাথে আর ওদের দেখা হয় নাই। কে যেন বলেছিলো- ‘তোমার কোনো প্রিয়জন যদি তোমার থেকে অনেক দূরে চলে যায়, তিন বা চার বছর পর্যন্ত তুমি তার চেহারা চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাবে। আজ ৭ বছর পার হয়ে গেছে। আমি আমার বউ এবং মেয়েকে স্পষ্ট চোখ খোলা এবং বন্ধ- এ দু' অবস্থায়ই দেখতে পাই। এর কারন হয়ত আমি একজন MECURE তাই। তবে কোনো এক সুন্দর সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি মনের ভুলে ডাক দেই-
‘বউ, আমার চা দাও।‘ কিংবা কোনো এক চাদনী রাতে একাকী মনের ভুলে আমার বঊকে ডাকি-
‘কই, এদিকে আসো। দেখ কি সুন্দর...’
কিন্তু আমার ডাকে কেউ সাড়া দেয় না।সে তো তখন কানাডায় অন্য কোনো সাথীকে নিয়ে চাঁদ দেখছে।
আচ্ছা, ওখানেও কি চাঁদ একই রকম?
আমি আর আমার ছায়া- দুজনে এক হয়ে যেতে চেষ্টা করি। কিন্তু রেললাইনের মত আমার ছায়া কেবলি আমার থেকে সমান দুরত্তে অবস্থান করে। পাশাপাশি- কিন্তু কখনো এক হয় না।
ধরা দিতে চায় না।
অভিমানী ছায়া!
(বিরতি দিয়ে দিয়ে চলবে)
বিষয়: সাহিত্য
১১৪২ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হ্যা, এরকম অনেক দেখছি, দেখেছি।
ইনশা আল্লাহ, ইচ্ছেটা রয়েই গেছে।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
না, আমার কোনো বই প্রকাশিত হয়নি। আমি ফেসবুক এবং এই ব্লগেই লিখছি (টুডে ব্লগে একদম অল্প কিছুদিন)।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য আপনাদের দুজনকেই অনেক শুভেচ্ছা জানাই।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
এতোদিন শালবনে ঘাপ্টি মাইরা ছিলাম
শুভেচ্ছা রইলো।
শুভেচ্ছা রইলো।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আপনার ক্ষুধা মেটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুভেচ্ছা রইলো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন